December 22, 2024, 1:55 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
২৫০ শয্যার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পানিতে ডোবা শিশুকে মৃত ঘোষণার পর মর্গে নিয়ে গেলে নড়ে ওঠায় হট্টগোল এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
১৯ মার্চ দুপুরে কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকায় হামিম হোসেন নামের ৮ বছরের শিশু খেলতে গিয়ে পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠান। সেখানে শিশুটি নড়েচড়ে উঠেছে বলে এবং ওই শিশু জীবিত আছে বলে স্বজনরা হৈচৈ শুরু করে।
প্রত্যক্ষদর্শী অন্য এক রোগীর স্বজন রফিকুল ইসলাম বলেন, পূনরায় শিশুটিকে হাসপাতালের ইমারজেন্সী তে ইসিজি করার জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে ইসিজি করাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে হট্টগোল শুরু করে রোগীর স্বজনসহ উপস্থিত লোকজন। এক পর্যায়ে তারা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়ায় জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগ ভাংচুর করতে থাকতে। পরে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ডাক্তাররা পূণরায় শিশুটির ইসিজি করে মৃত যোষণা করেন।
এবিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, আমি নিজে শিশুটিকে পরীক্ষা করে দেখে মৃত ঘোষণা করে মর্গে পাঠাই। সেখানে শিশুটির পেটে চাপ দিলে পানি বের হওয়ার শিশুটির স্বজনরা মনে করেন তার বাচ্চা জীবিত আছে। পরে শিশুটিকে ইমারজেন্সী তে নিয়ে আসলে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এখন সবকিছু স্বাভাবিক আছে। আমরা শিশুটির ইসিজি করেছি এবং লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত হামিম (৮) কুমারখালী উপজেলার জয়নাবাদ চরপাড়া এলাকার হারুনের ছেলে।
Leave a Reply